সমস্ত প্রশংসা আকাশ-যমিনের সৃষ্টিকর্তা মহান আল্লাহর জন্যে যিনি জীবন-মরণ Tradução - সমস্ত প্রশংসা আকাশ-যমিনের সৃষ্টিকর্তা মহান আল্লাহর জন্যে যিনি জীবন-মরণ Português como dizer

সমস্ত প্রশংসা আকাশ-যমিনের সৃষ্টিকর্

সমস্ত প্রশংসা আকাশ-যমিনের সৃষ্টিকর্তা মহান আল্লাহর জন্যে যিনি জীবন-মরণের একমাত্র মালিক। তিনি সৎকর্মশীলদেরকে পুরস্কৃত করার জন্যে এবং সীমা লংঘণকারীদেরকে শাস্তি দেয়ার জন্যে সমস্ত মাখলুকের মৃত্যু ও পুনরুত্থান অবধারিত করেছেন। দরূদ ও সালাম বর্ষিত হোক প্রিয় নবী মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম), তাঁর বংশধর ও সৎকর্মশীল সাথীদের উপর।
মহান সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর ইচ্ছায় আমরা এ পৃথিবীতে আগমণ করেছি। তাঁর ইচ্ছাতেই আমরা আবার এ সুন্দর পৃথিবী ছেড়ে চলে যাব। একদল আসছে। অন্য দল বিদায় নিচ্ছে। মানব জাতির এ আগমণ-প্রস্থানকে সমুদ্রের ঢেউয়ের সাথে তুলনা করা চলে। এক ঝাঁক ঢেউ সমুদ্র সৈকতে এসে শেষ হয়ে যায়। তার পিছ ধরেই অন্য এক ঝাঁক ঢেউ আগমণ করে তীরে এসে শেষ হয়। চলমান নদীর সাথে মানুষের চলার

গতির যথেষ্ট মিল রয়েছে। নদীর তীরে দাঁড়িয়ে আপনি এখন যে পানি অবলোকন করছেন সেটি একটু আগে বয়ে যাওয়া পানি নয়। অথচ নদী সেটিই। এমনিভাবে বর্তমান পৃথিবীতে আপনি যাদের সাথে বাস করছেন তাদের কেউ পাঁচ শত বছর পূর্বের মানুষ নয়। তারা এ পৃথিবীতে আপনার মতই বসবাস করেছিল। তারা চলে যাওয়ার পর আপনি এখন তাদের স্থান দখল করে বসেছেন। আপনিও চলে যাবেন। আপনার স্থানে অন্যরা আসবে।
মানব জাতির চলার এ গতি একদিন থেমে যাবে। সেদিন পৃথিবীতে বসবাসরত সকল মানুষ একসাথেই নিঃশেষ হয়ে যাবে। শুধু তাই নয়, সমস্ত পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যাবে। রাতের তারকাগুলো নিভে যাবে। সাগরের ঢেউ থেমে যাবে। নদ-নদীর পানি শুকিয়ে যাবে। এখানেই শেষ নয়; বরং এটি মানব জাতির একস্থান থেকে অন্য স্থানে গমণ মাত্র। অচিরেই এমন একদিন আসবে যেদিন আমরা সবাই নতুন এক জগতে ফেরত যাব। সেখানে আমাদের সকল কাজের হিসাব নেয়া হবে। আল্লাহ তা’আলা বলেনঃ
وَاتَّقُوا يَوْمًا تُرْجَعُونَ فِيهِ إِلَى اللَّهِ ثُمَّ تُوَفَّى كُلُّ نَفْسٍ مَا كَسَبَتْ وَهُمْ لَا يُظْلَمُونَ
আর তোমরা সেই দিনকে ভয় কর যেদিন তোমাদেরকে আল্লাহর দরবারে উপস্থিত করা হবে। তখন যে যা অর্জন করেছে তা সম্পূর্ণরূপে প্রদত্ত হবে। আর তাদের প্রতি বিন্দুমাত্র জুলুম করা হবেনা”। (সূরা বাকারাঃ ২৮১)
এই দিনকে কুরআনের ভাষায় বিভিন্ন নামে উল্লেখ করা হয়েছে। কোথায়ও আখেরাত দিবস, কোথায় বিচার দিবস, কোথায়ও মহান দিবস, মহাপ্রলয় ইত্যাদি। কুরআন মাযীদের এমন কোন পাতা খুব কমই খুঁজে পাওয়া যাবে, যেখানে পরকালের অর্থাৎ কিয়ামত দিবসের কথা আলোচিত হয়নি। কারণ কিয়ামত দিবস এবং পরকালের প্রতি বিশ্বাস ঈমানের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ রুকন। কিয়ামত দিবসের প্রতি এবং আখেরাতের শাস্তি কিংবা নেয়া’মতের উপর বিশ্বাসই মানুষকে সকল প্রকার কল্যাণের পথে নিয়ে যায় এবং সকল অন্যায় পথ হতে বিরত রাখে। এজন্যই পবিত্র কুরআনে বারবার কিয়ামত দিবসের কথা আলোচনা করা হয়েছে। মানুষের চরিত্র সংশোধনের জন্যে এবং তাদেরকে সঠিক পথে পরিচালনার জন্যে পরকালের প্রতি ঈমানের যে প্রভাব রয়েছে, মানব রচিত কোন বিধানেই তা খোঁজে পাওয়া যাবেনা। এজন্যেই যে ব্যক্তি আল্লাহ ও পরকালে বিশ্বাস করে এবং যে ব্যক্তি তাতে বিশ্বাস করেনা তাদের উভয়ের চরিত্রে আকাশ-পাতাল পার্থক্য পরিলক্ষিত হয়।
কিয়ামতের আলামতের প্রতি ঈমান আনয়ন করা আখেরাতের উপর ঈমানের অবিচ্ছেদ্য অংশ। কুরআন ও সুন্নাহর অনেক স্থানে আল্লাহর উপর ঈমান আনার পরেই আখেরাতের প্রতি ঈমান আনয়নের কথা বলা হয়েছে এবং কিয়ামতের আলামতগুলোও বিশেষ গুরুত্বের সাথে উল্লেখিত হয়েছে। নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সাহাবীদেরকে কিয়ামতের ছোট-বড় সকল আলামত মুখস্থ করিয়েছেন। সাহাবীগণ তা শিখেছেন এবং তার প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন।
কিয়ামত কি? উহা কিভাবে সংঘটিত হবে ?
আরবী 'কিয়াম' শব্দ থেকে 'কিয়ামত' শব্দের উৎপত্তি, যার অর্থ হচ্ছে-
দাঁড়ানো বা থেমে যাওয়া । প্রচলিত অর্থে ভবিষ্যতের কোন এক সময় অনুষ্ঠিতব্য
মহাপ্রলয়কে 'কিয়ামত' বলা হয় ।
মহাপ্রলয় সম্পর্কে পবিত্র কুরআনে এরশাদ হয়েছে-
অর্থ-"যখন আকাশ বিদীর্ণ হয়ে যাবে, যখন তারাগুলো ছড়িয়ে ছিটিয়ে যাবে, যখন সমুদ্র
উথলে উঠবে, যখন কবরগুলো উন্মোচিত করা হবে, তখন
প্রত্যেকে জানবে সে আগে কি পাঠিয়েছিল আর পিছনে কি রেখে এসেছে" (সূরা-
ইনফিতার, আয়াত- ১-৫) ।
অন্যত্র এরশাদ হয়েছে-
অর্থ- "সাত আকাশ বিদীর্ণ হয়ে যাবে এবং তা সেদিন নিস্তেজ বিক্ষিপ্ত হয়ে পড়বে, আর
ফেরেশতাগণ আকাশের কিনারায় কিনারায় থাকবে এবং সেদিন আটজন ফেরেশতা তাদের
প্রতিপালকের আরশকে নিজেদের উপর ধারণ করবে; সেদিন তোমাদেকে উপস্থিত
করা হবে এবং তোমাদের কোন কিছুই গোপন থাকবে না" (সূরা- হাক্কাহ, আয়াত- ১৬-১৮) ।
পবিত্র কুরআনে আরও এরশাদ হয়েছে-
অর্থ-"প্রত্যেক মানুষের কৃতকর্ম আমি তার গ্রীবালগ্ন করেছি এবং কিয়ামতের দিন
আমি তার জন্য বের করবো এক কিতাব, যা সে পাবে উন্মুক্ত । আমি বলব, তুমি তোমার
কিতাব পাঠ কর, আজ তুমি নিজেই তোমার হিসাব নিকাশের জন্য যথেষ্ট" (সূরা-
বনী ইসরাইল, আয়াত- ১৩-১৪) ।
অন্যত্র আছে-
অর্থ-"কিয়ামতের দিন তাদের সকলেই তাঁর নিকট আসবে নিঃসঙ্গ অবস্থায়" (সূরা- মরিয়ম,
আয়াত- ৯৫ ) ।
পবিত্র কুরআনে আরো এরশাদ হয়েছে-
অর্থ-"কিয়ামত দিবসে আমি স্থাপন করবো ন্যায় বিচারের মানদণ্ড । সুতরাং কারও
প্রতি কোন অবিচার করা হবে না এবং কর্ম যদি তিল পরিমাণ ওজনেরও হয় তবুও
উহা আমি উপস্থিত করব, হিসাব গ্রহণকারীরূপে আমিই যথেষ্ট" (সূরা- আম্বিয়া, আয়াত- ৪৭)

পবিত্র কুরআনে আরো ঘোষণা করা হয়েছে-
অর্থ-"তোমাদের আত্মীয়-স্বজন ও সন্তান সন্তুতি কিয়ামতের দিন কোন কাজে আসবে না ।
আল্লাহ্ তোমাদের মধ্যে ফয়সালা করে দিবেন তোমরা যা কর তিনি তা দেখেন" (সূরা-
মুমতাহিনা, আয়াত- ৩) ।
পবিত্র কুরআনে আরো এরশাদ হয়েছে-
অর্থ-"জীব মাত্রই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করবে, কিয়ামতের দিন তোমাদেরকে তোমাদের
কর্মফল পূর্ণ মাত্রায় দেয়া হবে । যাকে অগ্নি হতে দূরে রাখা হবে এবং জান্নাতে দাখিল
করা হবে সে-ই সফলকাম এবং পার্থিব জীবন ছলনাময় ভোগ ব্যতীত কিছুই নিয়" (সূরা-
আলে ইমরান, আয়াত- ১৮৫) ।
এছাড়াও কিয়ামত সম্পর্কে আরো যেসকল আয়াত রয়েছে নিম্নে তা প্রদত্ত হলো- সূরা-
নাহল, আয়াত- ২৫, ১২৪; সূরা- বনী ইসরাইল, আয়াত- ৫৮; সূরা- আম্বিয়া, আয়াত- ৪
0/5000
De: -
Para: -
Resultados (Português) 1: [Cópia de]
Copiado!
No começo é ótimo Louvado seja para vida-céu যমিনের-মরণের é o único proprietário. Ele সৎকর্মশীলদেরকে para পুরস্কৃত e লংঘণকারীদেরকে para a morte de todos os মাখলুকের e punir gama পুনরুত্থান অবধারিত. দরূদ e Salam বর্ষিত, amante do Profeta Muhammad (সাল্লাল্লাহু que সাল্লাম WA), seu filho e সৎকর্মশীল সাথীদের.মহান সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর ইচ্ছায় আমরা এ পৃথিবীতে আগমণ করেছি . তাঁর ইচ্ছাতেই আমরা আবার এ সুন্দর পৃথিবী ছেড়ে চলে যাব . একদল আসছে. অন্য দল বিদায় নিচ্ছে. মানব জাতির এ আগমণ-প্রস্থানকে সমুদ্রের ঢেউয়ের সাথে তুলনা করা চলে. এক ঝাঁক ঢেউ সমুদ্র সৈকতে এসে শেষ হয়ে যায় . তার পিছ ধরেই অন্য এক ঝাঁক ঢেউ আগমণ করে তীরে এসে শেষ হয় . নদীর সাথে মানুষের চলমান চলার গতির যথেষ্ট মিল রয়েছে. নদীর তীরে দাঁড়িয়ে আপনি এখন যে পানি অবলোকন করছেন সেটি একটু আগে বয়ে যাওয়া পানি নয় . অথচ নদী সেটিই. এমনিভাবে বর্তমান পৃথিবীতে আপনি যাদের সাথে বাস করছেন তাদের কেউ পাঁচ শত বছর পূর্বের মানুষ নয় . তারা এ পৃথিবীতে আপনার মতই বসবাস করেছিল. তারা চলে যাওয়ার পর আপনি এখন তাদের স্থান দখল করে বসেছেন . আপনিও চলে যাবেন. আপনার স্থানে অন্যরা আসবে. মানব জাতির চলার এ গতি একদিন থেমে যাবে. সেদিন পৃথিবীতে বসবাসরত সকল মানুষ একসাথেই নিঃশেষ হয়ে যাবে . শুধু তাই নয়, সমস্ত পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যাবে. রাতের তারকাগুলো নিভে যাবে. সাগরের ঢেউ থেমে যাবে. নদ-নদীর পানি শুকিয়ে যাবে. এখানেই শেষ নয়; বরং এটি মানব জাতির একস্থান থেকে অন্য স্থানে গমণ মাত্র . অচিরেই এমন একদিন আসবে যেদিন আমরা সবাই নতুন এক জগতে ফেরত যাব . সেখানে আমাদের সকল কাজের হিসাব নেয়া হবে. তা'আলা বলেনঃ আল্লাহ واتقوا يوما ترجعون فيه إلى الله ثم توفى كل ما نفس كسبت وهم لا يظلمون আর তোমরা সেই দিনকে ভয় কর যেদিন তোমাদেরকে আল্লাহর দরবারে উপস্থিত করা হবে. তখন যে যা অর্জন করেছে তা সম্পূর্ণরূপে প্রদত্ত হবে . আর তাদের প্রতি বিন্দুমাত্র জুলুম করা হবেনা ". (সূরা বাকারাঃ ২81) এই দিনকে কুরআনের ভাষায় বিভিন্ন নামে উল্লেখ করা হয়েছে . কোথায়ও আখেরাত দিবস, কোথায় বিচার দিবস, কোথায়ও মহান দিবস, মহাপ্রলয় ইত্যাদি. কুরআন মাযীদের এমন কোন পাতা খুব কমই খুঁজে পাওয়া যাবে , যেখানে পরকালের অর্থাৎ কিয়ামত দিবসের কথা আলোচিত হয়নি. কারণ কিয়ামত দিবস এবং পরকালের প্রতি বিশ্বাস ঈমানের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ রুকন . কিয়ামত দিবসের প্রতি এবং আখেরাতের শাস্তি কিংবা নেয়া'মতের উপর বিশ্বাসই মানুষকে সকল প্রকার কল্যাণের পথে নিয়ে যায় এবং সকল অন্যায় পথ হতে বিরত রাখে . এজন্যই পবিত্র কুরআনে বারবার কিয়ামত দিবসের কথা আলোচনা করা হয়েছে . মানুষের চরিত্র সংশোধনের জন্যে এবং তাদেরকে সঠিক পথে পরিচালনার জন্যে পরকালের প্রতি ঈমানের যে প্রভাব রয়েছে , মানব রচিত কোন বিধানেই তা খোঁজে পাওয়া যাবেনা. এজন্যেই যে ব্যক্তি আল্লাহ ও পরকালে বিশ্বাস করে এবং যে ব্যক্তি তাতে বিশ্বাস করেনা তাদের উভয়ের চরিত্রে আকাশ -পাতাল পার্থক্য পরিলক্ষিত হয়. কিয়ামতের আলামতের প্রতি ঈমান আনয়ন করা আখেরাতের উপর ঈমানের অবিচ্ছেদ্য অংশ . কুরআন ও সুন্নাহর অনেক স্থানে আল্লাহর উপর ঈমান আনার পরেই আখেরাতের প্রতি ঈমান আনয়নের কথা বলা হয়েছে এবং কিয়ামতের আলামতগুলোও বিশেষ গুরুত্বের সাথে উল্লেখিত হয়েছে . নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সাহাবীদেরকে কিয়ামতের ছোট-বড় সকল আলামত মুখস্থ করিয়েছেন. সাহাবীগণ তা শিখেছেন এবং তার প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন . কিয়ামত কি? উহা কিভাবে সংঘটিত হবে? আরবী 'কিয়াম' শব্দ থেকে 'কিয়ামত' শব্দের উৎপত্তি, অর্থ হচ্ছে- যার দাঁড়ানো বা থেমে যাওয়া. অর্থে ভবিষ্যতের কোন প্রচলিত এক সময় অনুষ্ঠিতব্য মহাপ্রলয়কে 'কিয়ামত' বলা হয়. মহাপ্রলয় সম্পর্কে পবিত্র কুরআনে এরশাদ হয়েছে- অর্থ- "যখন আকাশ বিদীর্ণ হয়ে যাবে, যখন তারাগুলো ছড়িয়ে ছিটিয়ে যাবে, সমুদ্র যখন উথলে উঠবে, যখন কবরগুলো উন্মোচিত করা হবে, তখন প্রত্যেকে জানবে সে আগে কি পাঠিয়েছিল আর পিছনে কি রেখে এসেছে "(সূরা- ইনফিতার, আয়াত- 1-5). অন্যত্র এরশাদ হয়েছে- অর্থ-" সাত আকাশ বিদীর্ণ হয়ে যাবে এবং তা সেদিন নিস্তেজ বিক্ষিপ্ত হয়ে পড়বে , আর ফেরেশতাগণ আকাশের কিনারায় কিনারায় থাকবে এবং সেদিন ফেরেশতা তাদের আটজন প্রতিপালকের আরশকে নিজেদের উপর ধারণ করবে; তোমাদেকে উপস্থিত সেদিন করা হবে এবং তোমাদের কোন কিছুই গোপন থাকবে না ". (সূরা- হাক্কাহ, আয়াত- 16-18) পবিত্র কুরআনে আরও এরশাদ হয়েছে- অর্থ-" প্রত্যেক মানুষের কৃতকর্ম আমি তার গ্রীবালগ্ন এবং কিয়ামতের দিন করেছি আমি তার জন্য বের করবো এক কিতাব, যা সে পাবে উন্মুক্ত. আমি বলব, তোমার তুমি কিতাব পাঠ কর, আজ তুমি নিজেই তোমার হিসাব নিকাশের জন্য যথেষ্ট "(সূরা- বনী ইসরাইল, আয়াত- 13-14). অন্যত্র আছে - অর্থ- "কিয়ামতের দিন তাদের সকলেই তাঁর নিকট আসবে নিঃসঙ্গ অবস্থায় " (সূরা- মরিয়ম, আয়াত- 95). পবিত্র কুরআনে আরো এরশাদ হয়েছে- অর্থ- "কিয়ামত দিবসে আমি স্থাপন করবো ন্যায় বিচারের মানদণ্ড. কারও সুতরাং প্রতি কোন অবিচার করা হবে না এবং কর্ম যদি তিল পরিমাণ ওজনেরও হয় তবুও উহা আমি উপস্থিত করব, হিসাব গ্রহণকারীরূপে আমিই যথেষ্ট "(সূরা- আম্বিয়া, আয়াত- 47) . পবিত্র কুরআনে আরো ঘোষণা করা হয়েছে- অর্থ-" তোমাদের আত্মীয়-স্বজন ও সন্তান সন্তুতি কিয়ামতের দিন কোন কাজে আসবে না . আল্লাহ্ তোমাদের মধ্যে ফয়সালা করে দিবেন তোমরা যা কর তিনি তা দেখেন "(সূরা- মুমতাহিনা, আয়াত- 3). পবিত্র কুরআনে আরো এরশাদ হয়েছে- অর্থ-" জীব মাত্রই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করবে, কিয়ামতের তোমাদেরকে তোমাদের দিন কর্মফল পূর্ণ মাত্রায় দেয়া হবে. অগ্নি হতে দূরে যাকে রাখা হবে এবং জান্নাতে দাখিল করা হবে সে-ই সফলকাম এবং পার্থিব জীবন ছলনাময় ভোগ ব্যতীত কিছুই নিয় "(সূরা- আলে ইমরান, আয়াত- 185). এছাড়াও কিয়ামত সম্পর্কে আরো যেসকল আয়াত রয়েছে নিম্নে তা প্রদত্ত হলো- সূরা- নাহল , আয়াত- ২5, 1২4; সূরা- বনী ইসরাইল, আয়াত- 58; সূরা- আম্বিয়া, আয়াত- 4 Desde o início temos আগমণ o mundo no grande Deus. Nós deixamos que a terra em seu novo lhe dá lindo. Um grupo de. A fugir para o outro time. আগমণ-প্রস্থানকে humano da nação é comparado com dúvidas. Uma das criaturas que saíram as ondas da praia. A outra coisa que আগমণ পিছ as ondas chegou na final da natação. Correndo com as pessoas correndo no RioNão é suficiente, há lotes de velocidade. De pé na margem da água do rio que agora você estão indo para a água antes de uma অবলোকন. Mas o rio সেটিই. এমনিভাবে são aqueles que vivem com você atual na terra, que é não a anterior cinco anos. na verdade, as pessoas. Eles gostam de viver em seu mundo. Eles deixaram depois capturaram o espaço que você está agora no controle da বসেছেন. Você vai embora. Outros virão à sua casa. Nação humana para executar uma velocidade um dia parou. No outro dia que todas as pessoas que vivem no mundo será নিঃশেষ. Não só isso, toda a terra será destruída. তারকাগুলো noite নিভে. Ondas do mar serão interrompidas. Rio-água do rio vai ser seco. Este não é o fim; Pelo contrário, é apenas humano para outro lugar da গমণ de nação একস্থান. Um dia, quando nós todos iremos um dia, que, logo após o novo mundo vai voltar. Todo o nosso trabalho lá será levado em conta. Deus আলা বলেনঃ
sendo traduzido, aguarde..
Resultados (Português) 2:[Cópia de]
Copiado!
সমস্ত প্রশংসা আকাশ-যমিনের সৃষ্টিকর্তা মহান আল্লাহর জন্যে যিনি জীবন-মরণের একমাত্র মালিক. তিনি সৎকর্মশীলদেরকে পুরস্কৃত করার জন্যে এবং সীমা লংঘণকারীদেরকে শাস্তি দেয়ার জন্যে সমস্ত মাখলুকের মৃত্যু ও পুনরুত্থান অবধারিত করেছেন . দরূদ ও সালাম বর্ষিত হোক প্রিয় নবী মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম), তাঁর বংশধর ও সৎকর্মশীল সাথীদের উপর.
মহান সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর ইচ্ছায় আমরা এ পৃথিবীতে আগমণ করেছি . তাঁর ইচ্ছাতেই আমরা আবার এ সুন্দর পৃথিবী ছেড়ে চলে যাব . একদল আসছে. অন্য দল বিদায় নিচ্ছে. মানব জাতির এ আগমণ-প্রস্থানকে সমুদ্রের ঢেউয়ের সাথে তুলনা করা চলে. এক ঝাঁক ঢেউ সমুদ্র সৈকতে এসে শেষ হয়ে যায় . তার পিছ ধরেই অন্য এক ঝাঁক ঢেউ আগমণ করে তীরে এসে শেষ হয় . নদীর সাথে মানুষের চলমান চলার

গতির যথেষ্ট মিল রয়েছে. নদীর তীরে দাঁড়িয়ে আপনি এখন যে পানি অবলোকন করছেন সেটি একটু আগে বয়ে যাওয়া পানি নয় . অথচ নদী সেটিই. এমনিভাবে বর্তমান পৃথিবীতে আপনি যাদের সাথে বাস করছেন তাদের কেউ পাঁচ শত বছর পূর্বের মানুষ নয় . তারা এ পৃথিবীতে আপনার মতই বসবাস করেছিল. তারা চলে যাওয়ার পর আপনি এখন তাদের স্থান দখল করে বসেছেন . আপনিও চলে যাবেন. আপনার স্থানে অন্যরা আসবে.
মানব জাতির চলার এ গতি একদিন থেমে যাবে. সেদিন পৃথিবীতে বসবাসরত সকল মানুষ একসাথেই নিঃশেষ হয়ে যাবে . শুধু তাই নয়, সমস্ত পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যাবে. রাতের তারকাগুলো নিভে যাবে. সাগরের ঢেউ থেমে যাবে. নদ-নদীর পানি শুকিয়ে যাবে. এখানেই শেষ নয়; বরং এটি মানব জাতির একস্থান থেকে অন্য স্থানে গমণ মাত্র . অচিরেই এমন একদিন আসবে যেদিন আমরা সবাই নতুন এক জগতে ফেরত যাব . সেখানে আমাদের সকল কাজের হিসাব নেয়া হবে. তা'আলা বলেনঃ আল্লাহ
واتقوا يوما ترجعون فيه إلى الله ثم توفى كل ما نفس كسبت وهم لا يظلمون
আর তোমরা সেই দিনকে ভয় কর যেদিন তোমাদেরকে আল্লাহর দরবারে উপস্থিত করা হবে. তখন যে যা অর্জন করেছে তা সম্পূর্ণরূপে প্রদত্ত হবে . আর তাদের প্রতি বিন্দুমাত্র জুলুম করা হবেনা ". (সূরা বাকারাঃ ২81)
এই দিনকে কুরআনের ভাষায় বিভিন্ন নামে উল্লেখ করা হয়েছে . কোথায়ও আখেরাত দিবস, কোথায় বিচার দিবস, কোথায়ও মহান দিবস, মহাপ্রলয় ইত্যাদি. কুরআন মাযীদের এমন কোন পাতা খুব কমই খুঁজে পাওয়া যাবে , যেখানে পরকালের অর্থাৎ কিয়ামত দিবসের কথা আলোচিত হয়নি. কারণ কিয়ামত দিবস এবং পরকালের প্রতি বিশ্বাস ঈমানের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ রুকন . কিয়ামত দিবসের প্রতি এবং আখেরাতের শাস্তি কিংবা নেয়া'মতের উপর বিশ্বাসই মানুষকে সকল প্রকার কল্যাণের পথে নিয়ে যায় এবং সকল অন্যায় পথ হতে বিরত রাখে . এজন্যই পবিত্র কুরআনে বারবার কিয়ামত দিবসের কথা আলোচনা করা হয়েছে . মানুষের চরিত্র সংশোধনের জন্যে এবং তাদেরকে সঠিক পথে পরিচালনার জন্যে পরকালের প্রতি ঈমানের যে প্রভাব রয়েছে , মানব রচিত কোন বিধানেই তা খোঁজে পাওয়া যাবেনা. এজন্যেই যে ব্যক্তি আল্লাহ ও পরকালে বিশ্বাস করে এবং যে ব্যক্তি তাতে বিশ্বাস করেনা তাদের উভয়ের চরিত্রে আকাশ -পাতাল পার্থক্য পরিলক্ষিত হয়.
কিয়ামতের আলামতের প্রতি ঈমান আনয়ন করা আখেরাতের উপর ঈমানের অবিচ্ছেদ্য অংশ . কুরআন ও সুন্নাহর অনেক স্থানে আল্লাহর উপর ঈমান আনার পরেই আখেরাতের প্রতি ঈমান আনয়নের কথা বলা হয়েছে এবং কিয়ামতের আলামতগুলোও বিশেষ গুরুত্বের সাথে উল্লেখিত হয়েছে . নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সাহাবীদেরকে কিয়ামতের ছোট-বড় সকল আলামত মুখস্থ করিয়েছেন. সাহাবীগণ তা শিখেছেন এবং তার প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন .
কিয়ামত কি? উহা কিভাবে সংঘটিত হবে?
আরবী 'কিয়াম' শব্দ থেকে 'কিয়ামত' শব্দের উৎপত্তি, অর্থ হচ্ছে- যার
দাঁড়ানো বা থেমে যাওয়া. অর্থে ভবিষ্যতের কোন প্রচলিত এক সময় অনুষ্ঠিতব্য
মহাপ্রলয়কে 'কিয়ামত' বলা হয়.
মহাপ্রলয় সম্পর্কে পবিত্র কুরআনে এরশাদ হয়েছে-
অর্থ- "যখন আকাশ বিদীর্ণ হয়ে যাবে, যখন তারাগুলো ছড়িয়ে ছিটিয়ে যাবে, সমুদ্র যখন
উথলে উঠবে, যখন কবরগুলো উন্মোচিত করা হবে, তখন
প্রত্যেকে জানবে সে আগে কি পাঠিয়েছিল আর পিছনে কি রেখে এসেছে "(সূরা-
ইনফিতার, আয়াত- 1-5).
অন্যত্র এরশাদ হয়েছে-
অর্থ-" সাত আকাশ বিদীর্ণ হয়ে যাবে এবং তা সেদিন নিস্তেজ বিক্ষিপ্ত হয়ে পড়বে , আর
ফেরেশতাগণ আকাশের কিনারায় কিনারায় থাকবে এবং সেদিন ফেরেশতা তাদের আটজন
প্রতিপালকের আরশকে নিজেদের উপর ধারণ করবে; তোমাদেকে উপস্থিত সেদিন
করা হবে এবং তোমাদের কোন কিছুই গোপন থাকবে না ". (সূরা- হাক্কাহ, আয়াত- 16-18)
পবিত্র কুরআনে আরও এরশাদ হয়েছে-
অর্থ-" প্রত্যেক মানুষের কৃতকর্ম আমি তার গ্রীবালগ্ন এবং কিয়ামতের দিন করেছি
আমি তার জন্য বের করবো এক কিতাব, যা সে পাবে উন্মুক্ত. আমি বলব, তোমার তুমি
কিতাব পাঠ কর, আজ তুমি নিজেই তোমার হিসাব নিকাশের জন্য যথেষ্ট "(সূরা-
বনী ইসরাইল, আয়াত- 13-14).
অন্যত্র আছে -
অর্থ- "কিয়ামতের দিন তাদের সকলেই তাঁর নিকট আসবে নিঃসঙ্গ অবস্থায় " (সূরা- মরিয়ম,
আয়াত- 95).
পবিত্র কুরআনে আরো এরশাদ হয়েছে-
অর্থ- "কিয়ামত দিবসে আমি স্থাপন করবো ন্যায় বিচারের মানদণ্ড. কারও সুতরাং
প্রতি কোন অবিচার করা হবে না এবং কর্ম যদি তিল পরিমাণ ওজনেরও হয় তবুও
উহা আমি উপস্থিত করব, হিসাব গ্রহণকারীরূপে আমিই যথেষ্ট "(সূরা- আম্বিয়া, আয়াত- 47)
.
পবিত্র কুরআনে আরো ঘোষণা করা হয়েছে-
অর্থ-" তোমাদের আত্মীয়-স্বজন ও সন্তান সন্তুতি কিয়ামতের দিন কোন কাজে আসবে না .
আল্লাহ্ তোমাদের মধ্যে ফয়সালা করে দিবেন তোমরা যা কর তিনি তা দেখেন "(সূরা-
মুমতাহিনা, আয়াত- 3).
পবিত্র কুরআনে আরো এরশাদ হয়েছে-
অর্থ-" জীব মাত্রই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করবে, কিয়ামতের তোমাদেরকে তোমাদের দিন
কর্মফল পূর্ণ মাত্রায় দেয়া হবে. অগ্নি হতে দূরে যাকে রাখা হবে এবং জান্নাতে দাখিল
করা হবে সে-ই সফলকাম এবং পার্থিব জীবন ছলনাময় ভোগ ব্যতীত কিছুই নিয় "(সূরা-
আলে ইমরান, আয়াত- 185).
এছাড়াও কিয়ামত সম্পর্কে আরো যেসকল আয়াত রয়েছে নিম্নে তা প্রদত্ত হলো- সূরা-
নাহল , আয়াত- ২5, 1২4; সূরা- বনী ইসরাইল, আয়াত- 58; সূরা- আম্বিয়া, আয়াত- 4
sendo traduzido, aguarde..
Resultados (Português) 3:[Cópia de]
Copiado!
সমস্ত প্রশংসা আকাশ - যমিনের সৃষ্টিকর্তা মহান আল্লাহর জন্যে যিনি জীবন - মরণের একমাত্র মালিক। তিনি সৎকর্মশীলদেরকে পুরস্কৃত করার জন্যে এবং সীমা লংঘণকারীদেরকে শাস্তি দেয়ার জন্যে সমস্ত মাখলুকের মৃত্যু ও পুনরুত্থান অবধারিত করেছেন। দরূদ ও সালাম বর্ষিত হোক প্রিয় নবী মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম), তাঁর বংশধর ও সৎকর্মশীল সাথীদের উপর।মহান সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর ইচ্ছায় আমরা এ পৃথিবীতে আগমণ করেছি। তাঁর ইচ্ছাতেই আমরা আবার এ সুন্দর পৃথিবী ছেড়ে চলে যাব। একদল আসছে। অন্য দল বিদায় নিচ্ছে। মানব জাতির এ আগমণ - প্রস্থানকে সমুদ্রের ঢেউয়ের সাথে তুলনা করা চলে। এক ঝাঁক ঢেউ সমুদ্র সৈকতে এসে শেষ হয়ে যায়। তার পিছ ধরেই অন্য এক ঝাঁক ঢেউআগমণ করে তীরে এসে শেষ হয়। চলমান নদীর সাথে মানুষের চলারগতির যথেষ্ট মিল রয়েছে। নদীর তীরে দাঁড়িয়ে আপনি এখন যে পানি অবলোকন করছেন সেটি একটু আগে বয়ে যাওয়া পানি নয়। অথচ নদী সেটিই। এমনিভাবে বর্তমান পৃথিবীতে আপনি যাদের সাথে বাস করছেন তাদের কেউ পাঁচ শত বছর পূর্বের মানুষ নয়। তারা এ পৃথিবীতে আপনার মতই বসবাস করেছিল। তারা চলে যাওয়ার পর আপনি এখন তাদেরস্থান দখল করে বসেছেন। আপনিও চলে যাবেন। আপনার স্থানে অন্যরা আসবে।মানব জাতির চলার এ গতি একদিন থেমে যাবে। সেদিন পৃথিবীতে বসবাসরত সকল মানুষ একসাথেই নিঃশেষ হয়ে যাবে। শুধু তাই নয়, সমস্ত পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যাবে। রাতের তারকাগুলো নিভে যাবে। সাগরের ঢেউ থেমে যাবে। নদ - নদীর পানি শুকিয়ে যাবে। এখানেই শেষ নয়; বরং এটি মানব জাতির একস্থান থেকে অন্য স্থানে গমণ মাত্র। অচিরেই এমন একদিন আসবে যেদিন আমরা সবাই নতুন এক জগতে ফেরত যাব। সেখানে আমাদের সকল কাজের হিসাব নেয়া হবে। আল্লাহ তা "আলা বলেনঃوَاتَّقُوا يَوْمًا تُرْجَعُونَ فِيهِ إِلَى اللَّهِ ثُمَّ تُوَفَّى كُلُّ نَفْسٍ مَا كَسَبَتْ وَهُمْ لَا يُظْلَمُونَআর তোমরা সেই দিনকে ভয় কর যেদিন তোমাদেরকে আল্লাহর দরবারে উপস্থিত করা হবে। তখন যে যা অর্জন করেছে তা সম্পূর্ণরূপে প্রদত্ত হবে। আর তাদের প্রতি বিন্দুমাত্র জুলুম করা হবেনা "। (সূরা বাকারাঃ ২৮১)এই দিনকে কুরআনের ভাষায় বিভিন্ন নামে উল্লেখ করা হয়েছে। কোথায়ও আখেরাত দিবস, কোথায় বিচার দিবস, কোথায়ও মহান দিবস, মহাপ্রলয় ইত্যাদি। কুরআন মাযীদের এমন কোন পাতা খুব কমই খুঁজে পাওয়া যাবে, যেখানে পরক
sendo traduzido, aguarde..
 
Outras línguas
O apoio ferramenta de tradução: Africâner, Albanês, Alemão, Amárico, Armênio, Azerbaijano, Basco, Bengali, Bielo-russo, Birmanês, Bósnio, Búlgaro, Canarês, Catalão, Cazaque, Cebuano, Chicheua, Chinês, Chinês tradicional, Chona, Cingalês, Coreano, Corso, Crioulo haitiano, Croata, Curdo, Detectar idioma, Dinamarquês, Eslovaco, Esloveno, Espanhol, Esperanto, Estoniano, Filipino, Finlandês, Francês, Frísio, Galego, Galês, Gaélico escocês, Georgiano, Grego, Guzerate, Hauçá, Havaiano, Hebraico, Hindi, Hmong, Holandês, Húngaro, Igbo, Inglês, Ioruba, Irlandês, Islandês, Italiano, Iídiche, Japonês, Javanês, Khmer, Kinyarwanda, Klingon, Laosiano, Latim, Letão, Lituano, Luxemburguês, Macedônio, Malaiala, Malaio, Malgaxe, Maltês, Maori, Marata, Mongol, Nepalês, Norueguês, Oriá, Pachto, Persa, Polonês, Português, Punjabi, Quirguiz, Romeno, Russo, Samoano, Sessoto, Sindi, Somali, Suaíle, Sueco, Sundanês, Sérvio, Tadjique, Tailandês, Tcheco, Telugo, Turco, Turcomano, Tártaro, Tâmil, Ucraniano, Uigur, Urdu, Uzbeque, Vietnamita, Xhosa, Zulu, indonésio, Árabe, tradução para a língua.

Copyright ©2024 I Love Translation. All reserved.

E-mail: